Translate

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

কাঠ বেড়ালি

কাঠ বেড়ালি

কাঠবেড়ালি ! কাঠবেড়ালি !
পেয়ারা তুমি খাও ?
গুড় - মুড়ি খাও ? দুধ - ভাত খাও ?
বাতাবি নেবু ? লাঊ ?
বেড়াল - বাচ্চা ? কুকুর - ছানা ? তাও ?
ছোঁচা তুমি ! তোমার সঙ্গে
আড়ি আমার ! যাও ।

মামর বাড়ী

মামর বাড়ী
জসীমদ্দীন

আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই,
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ী যাই।

ঝড়ের দিনে মামর দেশে
আম কুড়াতে সুখ,
পাকা জামের মধুর রসে
রঙ্গিন করি মুখ।

ভোর হলো

ভোর হলো
কাজী নজরুল ইসলাম

ভোর হলো দোর খোল
খুকুমনি ওঠে রে,
ঐ ডাকে জুঁই-শাখে
ফুল-খুকি ছোট রে।
খুলি হাল তুলি পাল
ঐ তরি চলল,
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল।
আলসে নয় সে
ওঠে রোজ সকালে,
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে।

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

আমি খোকা

          আমি খোকা

ওখানে কেরে ? আমি খোকা ।
মাথায় কিরে ? আমের ঝাঁকা ।
খাসনে কেন ? দাঁতে পোকা ।
বিলুস না কেন ? ওরে বাবা ।

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

'''জীবনের হিসাব''''

'''জীবনের হিসাব''''
সুকুমার রায়

"বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে
মাঝিরে কন, "বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে ?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে ? জোয়ার কেন আসে ?"
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যালফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, "সারা জনম মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।"


খানিক বাদে কহেন বাবু "বলত দেখি ভেবে
নদীর ধারা কেমনে আসে পাহাড় হতে নেবে ?
বলত কেন লবণপোরা সাগর ভরা পানি ?"
মাঝি সে কয়, "আরে মশাই অত কি আর জানি ?"
বাবু বলেন, "এই বয়সে জানিসনেও তা কি
জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি ?"

আবার ভেবে কহেন বাবু "বলতো ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চূড়ো ?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন ?"
বৃদ্ধ বলে, "আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন ?"
বাবু বলেন, "বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,--
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।"

খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন, নৌকোখানি ডুবল বুঝি দুলে !
মাঝিরে কন, "একি আপদ ! ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকি আজি ?"
মাঝি শুধায়, "সাঁতার জানো ?" --মাথা নাড়েন বাবু,
মূর্খ মাঝি বলে, "মশাই, এখন কেন কাবু ?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে।"

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

যদি মন কাঁদে

যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো চলে এসো
এক বরষায়
এসো ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কমলো শ্যামলো ছায়
চলে এসো

এক বরষায়

যদিও তখনো আকাশ থাকবে বৈরি
কদমও গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরী
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ঝলকে ঝলকে নাচিবে বজলি আলো
তুমি চলে এসো
চলে এসো
এক বরষায়

নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার পরে
মেঘমল্লার বৃষ্টিরো মনে মনে
কদমও গুচ্ছ খোপায় জড়ায়ে নিয়ে
জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে
চলে এসো
তুমি চলে এসো
এক বরষায়

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০১৪

আগুনের প্ররশ-মনি

                                                           আগুনের প্ররশ-মনি
                                                      রবীন্দ্রনাথ
কবিতার পাতা

 আগুনের প্ররশ-মনি ছোঁয়াও প্রাণে,  
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে ।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো-
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে।
আগুনের প্ররশ-মনি ছোঁয়াও প্রাণে।।
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব 
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথাই দেখবে আলো ।।
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে।
আগুনের প্ররশ-মনি ছোঁয়াও প্রাণে।।
                                                             সুরুল ১১ ভাদ্র [১৩২১]